
ছবি: সংগৃহীত।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটে সমৃদ্ধ সাংবাদিকতার ইতিহাস থাকলেও আজকাল সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অপব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই সাংবাদিকতার স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে নৈতিকতা বজায় রাখা এবং হলুদ সংবাদ রোধ করা অত্যন্ত জরুরি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালের জন্য সিলেটের ১১ জন প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে ইউনেস্কো ক্লাব সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়।
ড. আলিমুল ইসলাম বলেন, সংবাদপত্র হলো সমাজের দর্পন। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের অভাব এবং স্বাধীনতার অপব্যবহার দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
তিনি ১৭ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের বন্ধের ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।
উপাচার্য আরও জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ছিল, যা রাজনৈতিক কারণে কিছু সময় ফ্যাসিবাদ ও নাম পরিবর্তনের শিকার হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনেস্কো ক্লাবের মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল মালিক চৌধুরী (দৈনিক ইত্তেফাক), মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান (দৈনিক সংলাপ), আবদুল হামিদ মানিক (দৈনিক সিলেটের ডাক), আব্দুল মালিক জাকা (চ্যানেল এস ইউকে), মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (বাংলাদেশ বেতার), আতাউর রহমান আতা (দৈনিক সিলেট বাণী), আব্দুল কাদের তাপাদার (দৈনিক নয়া দিগন্ত), খালেদ আহমদ (দৈনিক আমার দেশ), আনিস রহমান (এনটিভি), শুয়াইবুল ইসলাম (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, সিলেট), খালেদ আহমদ (দেশ টেলিভিশন, সিলেট)।