প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৭ (সোমবার)
সাঈদীর মামলায়  মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বাদীসহ কয়েকজন সাক্ষী অভিযোগ করেছেন যে, তারা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য হন।

সাক্ষীদের মধ্যে একজন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ছিলেন। এছাড়া ২০১২ সালে সাঈদীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সত্য সাক্ষ্য দিতে গেলে গুম হওয়া সুখরঞ্জন বালির ভাইও এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের পর ভারতের বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, এবং পাঁচ বছর বন্দি থাকতে হয়েছিল।

বাদী ও সাক্ষীদের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সময় তারা নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কারণে শেখানো বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন। এরপরের প্রক্রিয়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকায় হাসপাতালে মারা যান।

ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম যুগান্তরকে জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অন্তত ৪০ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো অভিযোগ তদন্ত সংস্থায় পাঠানো হলে রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয়। সাক্ষীদের অভিযোগ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তদন্ত সংস্থার একজন কর্মকর্তা  জানিয়েছেন, সব অভিযোগের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে।