প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৪ (সোমবার)
রনধীর দত্ত রানু’র ‘সমকালের কথামালা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটে রনধীর দত্ত রানু’র লেখা ‘সমকালের কথামালা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মির্জাজাঙ্গালস্থ একটি হোটেল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লেখক, গবেষক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা, যিনি রনধীর দত্ত রানু’র অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং মানবিক সমাজ গঠনে শিক্ষাবিদ ও লেখক রনধীর দত্ত রানু আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তিনি সর্বদা দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করেছেন।’

অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা আরও বলেন, ‘রনধীর দত্ত রানু আজীবন শিক্ষকতা পেশায় সততার সঙ্গে কাজ করেছেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখানোর প্রত্যাশায়। তার লেখায় মানুষের জীবনের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠতো। তিনি সবসময় সাদা-কাকে সাদা ও কালো-কাকে কালো বলতেন।’

অনুষ্ঠান হৃদবন্ধন সাহিত্য পরিষদ সিলেট-এর সভাপতি হিমাংশু রায় হিমেল এর সভাপতিত্বে সম্পন্ন হয়।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন কবি ও গবেষক মুহিবুর রহমান কিরণ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- জামান মাহবুব (বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সিলেট শাখার প্রাক্তন শিশু সংগঠক ও গল্পকার), অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল (সিলেট শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক), পুলিন রায় (কবি ও ভাস্কর সম্পাদক), ড. ননীগোপাল দত্ত (সমাজসেবক)।

এছাড়া সমাজসেবী নবীন কুমার ভট্টাচার্য্য, শ্যামল কপালী, লেখিকা অমিতা বর্দ্ধন প্রমুখ গুণীজনও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে। লেখক স্মরণে পাঠ করা হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর…’ গানটি সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয়।

প্রকাশনা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান সুজন স্বাগত বক্তব্য দেন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সন্তোষ রঞ্জন পাল।

উদ্যাপনের সমাপ্তিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা করেন শিল্পী প্রতীক এন্দ, লাভলী পুরকায়স্থ, রুনা তালুকদার, জয়শ্রী মোহন তালুকদার এবং শিশুশিল্পী নিধি দাস ও দিব্য তালুকদার।

গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষক হিমাংশু রায় হিমেল। ধ্রুব এষ’র প্রচ্ছদে ঘাস প্রকাশন থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষাবিদ ও লেখক রনধীর দত্ত রানু ৩০ জুন ১৯৪৯ সালে সিলেট নগরের বাগবাড়িস্থ দত্ত বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি সিলেট নগরের পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ৫ জুলাই ২০১৭ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।