প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৫৫ (সোমবার)
ক্যামেরা বিক্রি করে শিশুদের খাবার জোগাচ্ছেন গাজার সাংবাদিকরা

ছবি: সংগৃহীত।

গাজার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক বশির আবু আলশায়ার (৪২) তার ক্যামেরা বিক্রি করে শিশুদের রুটির ব্যবস্থা করছেন। বন্দী গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার কারণে তার পরিবার চরম দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে।

বশির জানান, তার এই পোস্ট কোনো প্রচারণা নয়; এটি ছিল বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘এক টুকরো রুটি এখন স্বপ্নের মতো। আমার বাচ্চাদের অনাহারে থাকতে দেখেছি, আর আমার বাড়িতে কোনো খাবার অবশিষ্ট ছিল না। আমার ক্যামেরা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। তৃতীয় নয়নের বিনিময়ে হলেও আমার বাচ্চাদের বাঁচান।’

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজাজুড়ে দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ব্যাগ আটার প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষের কারণে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। প্রতিদিনই অপুষ্টি ও ক্ষুধাজনিত অসুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে।

অন্যদিকে, গাজার সাংবাদিক আহমেদ আবদেল আজিজ জানিয়েছেন, ‘ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ রাস্তায় পড়ে যাচ্ছে। সহায়তা কেন্দ্রগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। তার পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য তাকে একটি মাইক্রোফোন বিক্রি করতে হয়েছিল, কিন্তু মাত্র দুই দিনই খাবার জোগাতে পেরেছিলেন।’

বশির ও আহমেদের মতো সাংবাদিকরা শুধু যুদ্ধের ছবি নথিভুক্ত করেন না, বেঁচে থাকার জন্য তাদের কাজের সরঞ্জাম বিক্রি করে পরিবারকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বর্তমানে গাজায় এক কেজি আটার দাম ১০০ শেকেল বা প্রায় ২৯ ডলার, যা স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এই পরিস্থিতি গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার জরুরি আবেদনকে আরও তীব্র করে তুলেছে।