প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৫ (বুধবার)
মালয়েশিয়ায় হালাল শোতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, আসিয়ান বাজারে রফতানির সম্ভাবনা বৃদ্ধি

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস (MIHHS-২০২৫)-এর ২১তম আসরে অংশ নিচ্ছে। ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই চার দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মালয়েশিয়া বহির্বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের সমন্বয়ে দেশের পাঁচটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা জেলাটিন, খালি ক্যাপসুল শেল, খাদ্য ও পানীয়, প্রস্তুতকৃত খাবার, চামড়াজাত পণ্য, প্রসাধনী, গৃহস্থালি ও ব্যক্তিগত যত্ন সামগ্রী এবং তৈরি পোশাকসহ বিশ্বমানের পণ্যগুলো প্রদর্শন করবে। এসব পণ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ব্যবসায়িক চেম্বারের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন ব্যবসায়িক সভায় অংশ নেবে। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। হাইকমিশন আশা করছে, বাংলাদেশের এই অংশগ্রহণ হালাল শিল্পকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে রফতানির নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ৩২৯ মিলিয়ন ডলার, বাকি অংশ আমদানি। ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ২.৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। তবে রফতানি এখনও তুলনামূলকভাবে কম।

রফতানিকারকরা জানান, কাস্টমস জটিলতা ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আনুষ্ঠানিক রফতানি বাড়ছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুল্ক বিভাগের তদারকি জোরদার করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) করা জরুরি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, হালাল শিল্পে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ কেবল বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে না, বরং বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও আসিয়ান বাজারে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান গড়ার সুযোগও তৈরি করবে।