প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৯ (মঙ্গলবার)
ঢামেক ছাড়লেও অন্য হাসপাতালে ভর্তি হবেন নুর

ছবি: সংগৃহীত।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ১৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ছাড়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টি তার ফেসবুক পেইজে জানানো হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে নুর পুরোপুরি সুস্থ নন এবং চিকিৎসায় আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আগামীকাল অন্য কোনো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

নুরের ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, তার মাথা ও মুখ-মণ্ডলে আঘাতের কারণে পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক মাস লাগবে। বর্তমানে তার ন্যাজাল বোন ফ্র্যাকচার ‘ডিসপ্লেস’ অবস্থায়, যা অপারেশনের মাধ্যমে সঠিক অবস্থানে আনা হবে।।

এছাড়া ডান পাশের ম্যাক্সিলা ফ্র্যাকচার ও নার্ভ কমপ্রেসড থাকার কারণে ডান চোখের নিচ থেকে নাকের ডান পাশ ও ঠোট পর্যন্ত আংশিক অবশ রয়েছে। এ ছাড়াও ব্লান্ট ট্রমার কারণে লিভারসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা পরবর্তী ২-৩ সপ্তাহে অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে নুর ও তার সহকর্মীরা বক্সকালভার্ট সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সেই সময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা লাঠিপেটা চালিয়ে নুরসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে। নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে দেখতে যান বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তার, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন, নুরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হোক।