প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৪ (বুধবার)
জুড়ীতে উন্নত জাতের জাম্বুরার সন্ধান, চারা উৎপাদনে উদ্যোগ

ছবি: সংগৃহীত।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাতে কৃষি বিভাগ সম্প্রতি অনুসন্ধান চালিয়ে ১২টি উন্নত জাতের জাম্বুরা চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে আপাতত দুটি জাতের চারা উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি জাত বীজহীনG

কৃষিবিদদের দাবি, এতে কৃষকেরা বেশি লাভবান হবেন।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম খান জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা জাম্বুরার ফল, পাল্প, রং, মিষ্টতা ও রসের পরিমাণ পরীক্ষা করে ১২টি উন্নত জাত বাছাই করা হয়েছে। এসবের মধ্যে কলম পদ্ধতিতে দুটি জাতের চারা উৎপাদন শুরু করা হবে। দ্রুত কাজ শেষে চারা কৃষকদের মধ্যে বিতরণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

জুড়ী উপজেলার ৬৬ হেক্টর ভূমিতে বর্তমানে জাম্বুরা চাষ হয়। বিশেষ করে গোয়ালবাড়ী ও পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে এ ফলের আবাদ বেশি। প্রতিবছর মোট ১২ টন জাম্বুরা উৎপন্ন হয়, যা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি বিক্রি হয়।

তবে জাত উন্নত না হওয়ায় কৃষকরা সবসময় ভালো দাম পান না। বীজ থেকে চারা উৎপাদনের ফলে একই ফলের বিভিন্ন জাতের চারা হয়, যা বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

উপজেলার কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহায়তায় সম্প্রতি মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধান চালিয়ে উন্নত জাতের চারা চিহ্নিত করেছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল ধরতে শুরু করে জাম্বুরা, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ফল ধরে।

এর আগে ২০২২ সালে ‘জুড়ী বাতাবিলেবু-১’ ও ‘জুড়ী বাতাবিলেবু-২’ নামে দুটি জাতের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, জুড়ীর জাম্বুরা রাসায়নিক মুক্ত, প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয় এবং পুষ্টিগুণে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। গর্ভবতী মহিলা ও স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য এটি উপকারী। এছাড়া এতে থাকা লিমোনোয়েড ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

উন্নত জাতের চারা পেলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে জাম্বুরা চাষে আগ্রহী হবেন এবং দামও ভালো পাবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় চাষিরা।