ছবি: সংগৃহীত।
মৌলভী শরিফ উদ্দিন শরিফ স্বীকার করেছেন যে, তার নিজ মোবাইল থেকে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওটি ২০২২ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি মক্তবে ঘটে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মৌলভী শরিফ জানান, ২০২২ সালের ওই ঘটনার ভিডিওতে এক শিশুর সঙ্গে যৌন হয়রানির ঘটনা ধারণ করা হয়েছিল। ঘটনা ঘটেছিল গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে, যেখানে ওই সময় শরিফ উদ্দিন ছানী ইমাম ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ওই গ্রামের এক শিশুকে যৌন হয়রানি করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন।
ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওসি মো. আব্দুল আউয়াল আরও জানান, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শরিফ উদ্দিন পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট থানা পুলিশ তার সিঙ্গারীপাড়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে বালাগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে তাজপুর এলাকা থেকে আজ সকাল ১১ টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি বালাগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।