প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:২২ (বুধবার)
বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএস প্রতিষ্ঠানে নজরদারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত।

গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন সুরক্ষিত রাখতে আরও কঠোর নজরদারিতে আসছে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য সংস্থা। পাশাপাশি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) প্রতিষ্ঠানগুলোও নজরদারির আওতায় আসছে।

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়মিত মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কতটা মানসম্মত সেবা দিচ্ছে তা যাচাই করা হবে।

বর্তমানে দেশে ১৩টি এমএফএস ও ২১টি পিএসপি এবং পিএসও প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বমূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র ও সূচক সরবরাহ করা হয়েছে। এতে সাংগঠনিক ও আইনি কাঠামো, আর্থিক অবস্থা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।

প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ অথবা ‘আংশিক’ আকারে। পাশাপাশি প্রতিটি উত্তরের জন্য মন্তব্য কলাম পূরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মূল্যায়নে প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হবে- শক্তিশালী, সন্তোষজনক, মোটামুটি, প্রান্তিক ও দুর্বল। এতে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন খাতে ঝুঁকি আছে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে, যা গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিজিটাল লেনদেন যখন ক্রমেই বাড়ছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে মনে করছেন তারা।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করছে বিভিন্ন পিএসপি ও পিএসও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, পরিশোধসংক্রান্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা জোরদারে স্বমূল্যায়ন প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং মানুষের বিশ্বাস আরও বাড়াবে।