প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮ (মঙ্গলবার)
ডাকসু নির্বাচনে ১১টি অনিয়মের অভিযোগ ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের

ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ১১টি নির্দিষ্ট অনিয়ম তুলে ধরেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রশাসন পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিচ্ছে, ততক্ষণ আমরা এই নির্বাচনকে বৈধতা দিতে পারি না।’

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে-

ভোটারদের নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ব্যালট পেপার সরবরাহ ও আগে থেকেই স্বাক্ষর দেওয়া,

ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকা এবং ব্যবহৃত ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ না করা,

একটি ছাপাখানা থেকে বিপুলসংখ্যক নকল ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা,

ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণের ঘাটতি,

পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ও আইডি সরবরাহে অনিয়ম,

ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হঠাৎ পরিবর্তন,

অনভিজ্ঞ ও পক্ষপাতদুষ্ট পোলিং অফিসার নিয়োগ,

বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া,

অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও মার্কার সংকট,

একই ভোটার একাধিকবার ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম অভিযোগ করেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে একটি মহল তাঁদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে। ডাকসুর তফসিল ঘোষণার পরও নানা অনিয়ম চোখে পড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী বারবার অভিযোগ জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ শুধু সময়ক্ষেপণ করেছে। ফলে ২০২৫ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে ঠাঁই পাবে।

উল্লেখ্য, ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি-জিএস–এজিএসসহ মোট ২৩টি পদে জয়ী হয়। কোনো পদেই জয় পায়নি ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল।