প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৫ (বুধবার)
নিউইয়র্কে নেতাদের ওপর হামলা  যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যর্থতায় ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরকারি সফররত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক আদালতে গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা দারাদ আহমেদ।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামীলীগের প্রবাসী কর্মীরা বিমানবন্দরে উপস্থিত বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। এতে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়েন। এ ঘটনায় তিনি একে শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, বরং রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার উদাহরণ বলে অভিহিত করেন।

দারাদ আহমেদ অভিযোগ করেন, সফরত মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না।তিনি বলেন, ‘প্রবাসে বিএনপিকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি বিভক্তি, গোষ্ঠীবাদ ও কোন্দলে নিমজ্জিত। সংকটকালে দায়িত্ব পালনে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য ও লজ্জাজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের নিরাপদে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে সক্ষম হলেও বিএনপির মহাসচিব ও এনসিপি নেতারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জামায়াতের ভেতরকার আতাত ও সমন্বয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’

বিবৃতিতে দারাদ আহমদ স্পষ্ট করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে অবিলম্বে সাংগঠনিক শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ও সুযোগসন্ধানী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি সতর্ক করে দেন, ‘বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করেন, তবে ভবিষ্যতে বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই বিদেশে নিরাপদ থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘এই হামলা শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ও আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মর্যাদার জন্যও হুমকিস্বরূপ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যর্থতাকেও দায়ী করছি।’

উল্লেখ্য, বিগত ১/১১ প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া কারান্তরীন হবার পর নেদারল্যান্ডের দি হেগ সিটিতে আর্ন্তজাতিক আদালতে নেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের সচেতন বাংলা ভাষাভাষীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন দারাদ আহমেদ। চলে আসেন আলোচনায়। এরপর সংস্কারপন্থী শীর্ষ নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষনা করে সিলেট বিভাগের বিএনপিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেন তিনি। সংস্কার পন্থীদের দাপটে যখন বিএনপি’র দুরবস্থা ঠিক সেই সময়ে মহাসচিবের নির্দেশে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রবাসী নেতাকর্মীদের মনোবল দৃঢ় করার পাশাপাশি দলের কমিটি গঠন করেন। আর এ কারনে দলের নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার গুডবুকে চলে আসেন দারাদ। এছাড়াও তিনি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা।