
ছবি: সংগৃহীত।
গ্রিক দ্বীপ ক্রিটের দক্ষিণে এবং গাভদোসের দক্ষিণের জলসীমায় তিনটি পৃথক অভিযানে মোট ১৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। যৌথ উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্র (জেআরসিসি) তত্ত্বাবধানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্সের ড্রোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রিক কোস্ট গার্ডের একটি টহল নৌকা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানের একটি ছোট নৌকা থেকে ৩৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের কোরা স্ফাকিওন বন্দরে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উদ্ধার অভিযানে কোনও জটিলতা দেখা দেয়নি।
এর আগে সোমবার আরও দুটি অভিযানে ১০৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।
প্রথম অভিযানে গাভদোসের দক্ষিণে আট নটিক্যাল মাইল দূরে একটি ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৪৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযানে ১৪ নটিক্যাল মাইল দূরে আরেকটি ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। দুই অভিযানের সব অভিবাসীকে নিরাপদে দ্বীপের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
অন্য়দিকে উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে গ্রিস। ১১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, এই সময়ে আটক হওয়া অভিবাসীদের লিবিয়া বা তিউনিশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।
গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয় সোমবার থেকে আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু করেছে। নতুন আইনের অধীনে, প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে ফিরে না গেলে সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গ্রিসে ১৬,৫৯০টি আশ্রয় আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪,৭১৯টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বর্তমানে ২৭,০১৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যার মধ্যে আনুমানিক ৯,০০০টি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন আইন মূলত অনিয়মিত প্রবেশ ঠেকানো এবং অভিবাসীদের আশ্রয় ও বসবাসের নিয়ম মানতে বাধ্য করার জন্য প্রণীত।