শিরোনাম
৪১ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটে জয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধ*র্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রে*ফতার সিলেটে ডাচদের দুর্দিন: ৬৫ রানে নেই ৭ উইকেট দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি: বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে, দুই দলে পরিবর্তন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে আর বাধা নেই ১১ ফুটবলারকে সিলেট বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল রেফারি এসোসিয়েশন পাথর নিয়ে দুদকের প্রতিবেদন অসত্য হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যারা মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, তাদের নির্বাচনের অধিকার নেই: সিলেটে বুলু বাউল আব্দুল করিমের গানে স্বত্ব লঙ্ঘন, গ্রামীণফোনের কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করল হাইকোর্ট বিভাগ

https://www.emjanews.com/

9016

sylhet

প্রকাশিত

২৯ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৮

আপডেট

২৯ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৩

সিলেট

সিলেটে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে তরুণীর টিকটক: তিনজনকে শোকজ

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৮

ছবি: সংগৃহিত।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারি অফিসের চেয়ারে বসে এক তরুণীর টিকটক ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে The brand @shimaqueen22 নামের একটি টিকটক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, তরুণী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে কণ্ঠশিল্পী সাজ্জাদ নূরের একটি জনপ্রিয় গানের সঙ্গে লিপসিং করছেন। ভিডিওর পেছনে পরিষদের চেয়ারম্যানদের নামফলক ও সরকারি লোগো স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। টেবিলের এক পাশে রাখা ছিল বিজয় দিবসের স্মারক ক্রেস্ট এবং জাতীয় পতাকা।

ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই তা প্রায় সাড়ে ৫ হাজারবার দেখা হয়েছে। এতে ৫৪২টি রিএকশন ও ২৮টি মন্তব্য এসেছে। একজন ব্যবহারকারী মজা করে মন্তব্য করেন, ‘অভিনন্দন উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবা।’

তবে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানবিহীন অফিসে এমন ভিডিও ধারণ কীভাবে সম্ভব হলো, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিলটন চন্দ্র পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে বিষয়টি উদঘাটন করা হবে।’

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এ ঘটনায় প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।