ছবি: সংগৃহীত।
বিবর্ণ হয়ে পড়েছিল প্রকৃতিকন্যা সাদা পাথর। পর্যটনকেন্দ্রটি হারিয়েছিল স্বাভাবিক সৌন্দর্য, হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুরা। কিন্তু অন্ধকারের সেই দিন কাটিয়ে এবার নতুন আলো জ্বালাচ্ছে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, পুরো এলাকাটিকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে দ্রুত।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আধুনিক সুবিধা
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর। এখানে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, বিশাল ক্যাফেটেরিয়া, আধুনিক গেস্টহাউজ, ডরমিটরি ও ক্লিনিক। পর্যটকদের জন্য থাকছে গাড়ি পার্কিং, বিশ্রামাগার ও নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থা। প্রতিটি স্থাপনা করা হয়েছে আলাদা প্রবেশপথে, যাতে ব্যবহারকারীদের কোনো অসুবিধা না হয়। বন্দর চত্বর ঘিরে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের শেষ মুহূর্তের কাজ।
পর্যটকদের জন্য বাড়তি সুবিধা
সাদা পাথরের নৌঘাটে যাওয়া পর্যটকদের আর বন্দর কার্যক্রমে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক আলাদা রুট ব্যবহার করবে। ফলে ভ্রমণপিপাসুরা নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারবেন নদী ও পাহাড়ঘেরা সাদা পাথরের স্বচ্ছ সৌন্দর্য।
হারানো পাথর ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
যৌথ বাহিনী ইতোমধ্যেই লুট হওয়া পাথর পানি ও মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেছে। দ্রুতগতিতে চলছে প্রকৃতিকেন্দ্রটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। এরই মধ্যে বদলে যাচ্ছে ভোলাগঞ্জের চেহারা।
রাজস্ব ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
স্থলবন্দর চালু হলে শুধু রাজস্ব আয়ই বাড়বে না, স্থানীয়দের জন্য তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর চালুর ফলে পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে হোটেল–রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পরিবহন ব্যবসায় নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলাগঞ্জ
আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে ভোলাগঞ্জ। ইতোমধ্যেই ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল সরেজমিন অগ্রগতি যাচাই করবে। স্থানীয়দের আশা, বন্দর চালু হলে সাদা পাথরের হারানো আকর্ষণ ফিরে আসবে, আর ভোলাগঞ্জ হয়ে উঠবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নতুন পর্যটন রাজধানী।
