অতিরিক্ত কার্টুন দেখায় শিশুদের মানসিক ও সামাজিক সমস্যা হতে পারে
শিশুদের জন্য কার্টুন উপভোগের পাশাপাশি খেলাধুলা, গল্প ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:১৯

ছবি: সংগৃহীত।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শিশুরা মোবাইল ও টিভির সঙ্গে খুব পরিচিত। অনেক শিশু মোবাইল না পেলে কান্না করে বা খাবার খেতে অনীহা দেখায়। মোবাইল বা টিভিতে কার্টুন দেখা শিশুদের আনন্দ দেয়, শেখায় এবং কল্পনার জগতে নিয়ে যায়। তবে কতক্ষণ কার্টুন দেখছে, তা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
কার্টুনের উপকারিতা
ভাষা, রং ও সমস্যার সমাধান শেখায়।
গল্পের মাধ্যমে অল্প বয়সে শোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
নৈতিক গল্প শিশুদের চরিত্র ও আচরণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সমস্যা
দ্রুত গতিসম্পন্ন কার্টুন একটানা ৯ মিনিটের বেশি দেখলে একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে।
২-৫ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম কথাবার্তা, স্মৃতি ও সামাজিক আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে।
পছন্দের চরিত্রদের অনুকরণে আচরণ বা ভাষার ভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে।
দীর্ঘ সময় কার্টুন দেখলে খেলাধুলা ও সামাজিক কাজকর্মে আগ্রহ কমে যেতে পারে।
পরামর্শ ও সমতা
শিশুরা যে কার্টুন দেখবে, তা বড়দের নির্বাচন করা উচিত।
ধীর গতির শিক্ষামূলক কার্টুন দেখানো ভালো।
স্কুলে না যাওয়া শিশুদের দিনে এক ঘণ্টার বেশি কার্টুন দেখানো উচিত নয়।
গল্প করা, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গে পরিচিত করানো জরুরি।
কার্টুন সব সময় শিশুকে শান্ত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
শিশুদের জন্য কার্টুন উপভোগের পাশাপাশি খেলাধুলা, গল্প ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।