https://www.emjanews.com/

10298

surplus

প্রকাশিত

০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪২

অন্যান্য

আরও গণমাধ্যমের অনুমতি দেবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪২

ছবি: সংগৃহীত।

নতুন গণমাধ্যমের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হলো কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। যেহেতু কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হচ্ছে না, তাই নতুন গণমাধ্যমের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এটি আগের নিয়ম অনুযায়ী করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি নতুন আইনে গণমাধ্যমের অনুমতি দিতে পারতাম, তবে সেটি সবচেয়ে সুখকর হতো। কিন্তু নতুন আইন প্রণয়ন করতে গেলে, এ সরকারের আমলে কোনো নতুন গণমাধ্যম আসতে পারবে না।’

নতুন গণমাধ্যম চালুর ফলে প্রতিযোগিতা বাড়বে, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এরই মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার প্রক্রিয়াতেই দুটি নতুন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন ‘নেক্সট টিভি’র অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন।

‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন বগুড়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম গোলাম হাসনাইন, যিনি বর্তমানে সৌদি আরব (পূর্বাঞ্চল) বিএনপির সভাপতি।

অন্যদিকে, ‘লাইভ টিভি’ অনুমোদন পেয়েছে গত ১৪ জুলাই। এটি পরিচালনা করবে ‘মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড’, যার মালিক আরিফুর রহমান। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা গুলশান-১ এর ১৪৩ নম্বর সড়কে। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন, তবে এনসিপিতে যোগ দেননি বলে জানা গেছে।

বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে ৩৬টি চ্যানেল পূর্ণ সম্প্রচারে রয়েছে, আর ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। এছাড়া ১৫টি অনুমোদিত আইপি টিভি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট, প্রকল্প প্রস্তাব এবং ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দেওয়া অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়।

আবেদন যাচাই শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ‘ফ্রিকোয়েন্সি ক্লিয়ারেন্স’ নিতে হয়। মূলত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের ‘সবুজ সংকেত’ পেলে চ্যানেল সম্প্রচারের সুযোগ মেলে।