https://www.emjanews.com/

10566

national

প্রকাশিত

১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪০

আপডেট

১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৪

জাতীয়

দাবি আদায় না হলে দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪০

ছবি: সংগৃহীত।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। টানা পঞ্চম দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

সকাল ১০টার দিকে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সেখানে জড়ো হয়েছেন। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন-
‘২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিতে হবে’,
‘বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও’,
‘শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না মানি না’।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, দাবি আদায় না হলে আজ দুপুর ১২টায় তাঁরা পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন, যা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনমুখী পদযাত্রা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষি

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি ভাতা ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ‘গতকাল রাতে সরকারের দুইজন রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে কথা হয়েছে। তবে আমরা আমাদের মূল দাবি-২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া-এর বাইরে যাব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে আমরা ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাস্তায় নামব।’

আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ

ময়মনসিংহ থেকে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা মাধ্যমিক শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, ‘সরকার শিক্ষকদের দাবি প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। আলোচনার মাধ্যমে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতার আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এটা শিক্ষকদের প্রতি এক ধরনের অবমাননা।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মস্থলে ফিরব না।’

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন-
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম তিন হাজার টাকা বাড়ি ভাতা প্রদান,
২. উৎসব ভাতা সমন্বয়,
৩. চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ভাতার পুনর্বিন্যাস।

তাঁরা জানিয়েছেন, সরকার যদি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি না করে, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।