https://www.emjanews.com/

10969

surplus

প্রকাশিত

২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৪৮

অন্যান্য

স্কুলে ভর্তিতে লটারি বহাল

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৪৮

ছবি: সংগৃহীত।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে আগামী শিক্ষাবর্ষেও লটারি পদ্ধতি চালু থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিগগিরই লটারির মাধ্যমে ভর্তির বিস্তারিত নীতিমালা প্রকাশ করবে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবারও স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে লটারির পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’

তবে দেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’ প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে। সোমবার তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। আবেদনে সমিতির আহ্বায়ক একেএম আজাদ ও সদস্য সচিব মো. আব্দুল মূবীন স্বাক্ষর করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিগত সরকারের সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চালু করা লটারির পদ্ধতি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর। ২০২৬ সালেও এই পদ্ধতি চলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিভাবকরা অবগত হয়েছেন। এতে বিভিন্ন জেলায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন এবং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে লটারিকে দায়ী করেছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগে স্কুলে ভর্তিতে পরীক্ষা ছিল প্রচলিত নিয়ম। তবে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানো ও অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য সরকার ২০১১ সালে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে লটারি ব্যবস্থা চালু করে। ২০২০ সালে মহামারির সময়ে লটারিকে বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মটি কিছুটা শিথিল হয়েছে।