আগামীকাল থেকে যাত্রী যাচাই শুরু করছে মালয়েশিয়া
প্রথম ধাপে অংশ নিচ্ছে ১০টি আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১২
ছবি: সংগৃহীত।
আগামীকাল ১ নভেম্বর থেকে মালয়েশিয়া সরকার দেশে আগত যাত্রীদের তথ্য আগাম যাচাইয়ের কার্যক্রম শুরু করছে। নতুন এই উদ্যোগের নাম অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার স্ক্রিনিং সিস্টেম (এপিএসএস)। প্রথম ধাপে ১০টি আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, ভিয়েতনামের ভিয়েতজেট এয়ার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস, সিঙ্গাপুরের স্কুট, এবং বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে জানান, এপিএসএস প্রকল্পের প্রথম ধাপে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন), ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) যৌথভাবে এসব বিমানসংস্থার সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করবে। কার্যকারিতা যাচাই শেষে ২০২৬ সালের মার্চ থেকে এটি সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সম্প্রসারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ১এপিএসএস চালুর ফলে যাত্রীদের তথ্য দেশটির প্রবেশপথে পৌঁছানোর আগেই যাচাই করা যাবে। এতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এটি জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগ সরকারের আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতির অংশ। এর মাধ্যমে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রীদের আগেই চিহ্নিত করা যাবে।
সাইফুদ্দিন জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাবনা এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও)-এর ইউনিভার্সাল সিকিউরিটি অডিট প্রোগ্রাম-কনটিনিউয়াস মনিটরিং অ্যাপ্রোচ (ইউএসএপি–সিএমএ) মানদণ্ড অনুসারে প্রকল্পটির সূচি ডিসেম্বরের পরিবর্তে অক্টোবরেই এগিয়ে আনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এপিএসএসের আগাম বাস্তবায়ন প্রমাণ করে যে মাদানি সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ মালয়েশিয়াকে একটি নিরাপদ, আধুনিক ও পর্যটনবান্ধব বিমান পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবে।
সাইফুদ্দিন নাসিউশন জানান, এপিএসএস হচ্ছে জাতীয় সমন্বিত ইমিগ্রেশন সিস্টেম (মাইএনআইলস) প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথম ধাপটি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য চালু করা হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য যাত্রী তথ্যের আগাম যাচাই এবং জাতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করা।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘এই উদ্যোগ দেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল রূপান্তরের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে এবং জনগণের জন্য নিরাপদ, দ্রুত ও আধুনিক সেবা নিশ্চিত করবে-যা মাদানি সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার।’
