
ছবি: সংগৃহিত।
বর্তমান যুগে যাতায়াতের সময় অনেকেই মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটান। ফলে অকারণ সময় নষ্ট হয় এবং মানসিক চাপও বাড়ে। অথচ এই সময়টুকু যদি কাজে লাগানো যায় বই পড়ার মাধ্যমে, তাহলে জ্ঞান আহরণ যেমন হবে, তেমনি মনও প্রফুল্ল থাকবে।
যাত্রাপথে বই পড়া কেবল সময়ের সঠিক ব্যবহারই নয়, বরং এটি এক ধরনের মানসিক প্রশান্তিরও উৎস। বাস, ট্রেন বা লঞ্চে ভ্রমণের সময় বই পড়লে যাত্রা আনন্দময় হয়ে ওঠে। দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্তি ও বিরক্তি দূর হয়। একই সঙ্গে নতুন নতুন জ্ঞান, ভাবনা ও কল্পনার জগতে প্রবেশ করা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বই পড়া মানুষের চিন্তাশক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়। যাত্রাপথে অল্প সময়ের পড়াশোনাও মানুষের ভেতরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অনেক উন্নত দেশে যাত্রীরা মোবাইল বা হেডফোনের পরিবর্তে হাতে বই রাখেন। এতে তাদের ভ্রমণ যেমন আনন্দময় হয়, তেমনি জ্ঞানের ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হয়।
বাংলাদেশেও এই অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন চাইলে গণপরিবহনে পাঠাগারের ব্যবস্থা করতে পারে। ছোট ছোট বই বা ম্যাগাজিন সরবরাহ করা হলে যাত্রীরা সেগুলো সহজেই পড়তে পারবেন।
অতএব বলা যায়, যাত্রাপথে বই পড়া শুধু সময় কাটানোর একটি মাধ্যম নয়; বরং এটি আমাদের মানসিক বিকাশ, জ্ঞানচর্চা ও মননশীলতা বৃদ্ধির অন্যতম উপায়।
তাই আসুন- মোবাইল ফোনের বদলে যাত্রাপথে হাতে তুলে নেই একটি বই।