শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9295

surplus

প্রকাশিত

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:২২

অন্যান্য

রোববার রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:২২

ছবি: সংগৃহীত।

প্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক অনন্য দৃশ্যের আয়োজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদ রঙ বদল করে লাল আভা ধারণ করবে, যা ‘ব্লাড মুন’ হিসেবে পরিচিত। রাতের আকাশে ছড়িয়ে পড়া এই রক্তিম চাঁদ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবেন।

মহাকাশ বিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডট কম জানিয়েছে, এবারের চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী হবে, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এ গ্রহণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দৃশ্যমান হবে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ এটি সরাসরি দেখতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশ থেকেও গ্রহণ স্পষ্ট দেখা যাবে।

বাংলাদেশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ৯টা ২৮ মিনিটে, যখন চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করবে। চাঁদ পুরোপুরি লাল আভা ধারণ করবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ভোর ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসবে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে, তখন গ্রহণ শেষ হবে। চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে নিরাপদে দেখা যায়।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কীভাবে হয়?
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মধ্যে অবস্থান করে এবং চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়। চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন ছায়া অংশ, ‘আম্ব্রা’-এর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষের সময় চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনাম্ব্রা’-তে থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চাঁদ লাল হয় কেন?
চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ লাল আভা ধারণ করে। এটি ঘটে ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার কারণে। যেমন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়, তেমনি চাঁদও লাল হয়ে ওঠে। পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদে পৌঁছতে বাধা দেয়, কিন্তু কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে চাঁদে পৌঁছায়। এতে নীল ও বেগুনি আলো ছড়িয়ে যায়, আর লাল ও কমলা আলো চাঁদে পৌঁছায়, যা চাঁদকে রক্তিম আভা দেয়।

নাসা জানিয়েছে, যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা, মেঘ বা আগ্নেয়গিরির ছাই থাকে, তাহলে চাঁদ আরও গাঢ় লাল বা তামাটে আভা ধারণ করতে পারে।