এটিইও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৫৩
                                                            ছবি: সংগৃহীত।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নানা অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন’ দেওয়ার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও শনাক্তের কাজ চলমান।
তবুও ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে ‘Zahid Khan (All Exam Helper)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মেলে, যা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
এ ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আবেদন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে বহিরাগত প্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশ নেন, যা বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা ব্যাহত করেছে। এছাড়া পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত সিলেবাসও অনুসরণ করা হয়নি।
একই দিনে বেলা ১২টায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা জানান, পরীক্ষা বাতিল না হলে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, ‘২০১৬ সালের এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও বাতিল হয়নি। তবে এবার যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়ম ঘটেছে, তা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও ন্যায়বিচারকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এতে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর।
                        
                        