https://www.emjanews.com/

9855

surplus

প্রকাশিত

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৩

অন্যান্য

মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্টের ৪ দিনব্যাপী উৎসব সম্পন্ন

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৩

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা যেন এ দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সম্প্রীতিতে কেউ যেন আঘাত করতে না পারে। আমাদের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব যেন অক্ষুন্ন থাকে। সমাজ থেকে সকল অবক্ষয় দূর করে এগিয়ে যাই। অনেক ঐতিহ্য আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সর্বক্ষেত্রে আমাদের এই দেশটা যেন শান্তির হয়। 

তিনি রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রবিবার উৎসবের ৪র্থ দিন সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট নগরীর শ্রীশ্রী বলরাম জিউর আখড়ায় মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্ট ১৪৩২ বঙ্গাব্দ আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও অরুণ আলোর অঞ্জলির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্ট ১৪৩২ বঙ্গাব্দের সভাপতি জি.ডি. রুমু’র সভাপতিত্বে এবং শিলা চৌধুরী, শাশ্বতী ঘোষ সোমা ও অরুন কুমার বিশ্বাসের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, পরিষদের উপদেষ্টা নিরেশ চন্দ্র দাশ, শাবিপ্রবির ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী অব. শিক্ষক স্বপন চক্রবর্ত্তী।

স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি লেখক বিনয় ভূষণ তালুকদার, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জ্যোতি মোহন বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে অরুণ আলোর অঞ্জলির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রকাশনা সম্পাদক সুমন বনিক।

সভায় বৃত্তিদাতাদের মধ্যে বিশেষ অবদানের জন্য পরিষদের নিরলস কর্মী বিনয় ভূষণ তালুকদার ও পৃষ্ঠপোষক ছড়াকার নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। 

এর আগে সকাল ৮টায় শ্রীশ্রী চণ্ডীমায়ের পূজায় পৌরহিত্য করেন পরিষদের উপদেষ্টা বিষ্ণু প্রসাদ ভট্টাচার্য্য।

সকাল সাড়ে ৮টায় শ্রীমা সারদা সংঘ সিলেটের পরিবেশনায় সমবেত চণ্ডীপাঠ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংঘের সম্পাদিকা বর্ণালী পুরকায়স্থ।

বিকাল ৩টায় হেপী দেব শিল্পী’র সঙ্গীত পরিচালনায় ও শ্রীমা সারদা সংঘ সিলেটের প্রশিক্ষণার্থী শিশু কিশোরবৃন্দের পরিবেশনায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বিকাল সাড়ে ৪টায় পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাট্যকর্মী অমিত ত্রিবেদীর পরিচালনায় মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপ-কমিটির আহবায়ক অব. উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর।

সদস্য সচিব শাবিপ্রবি’র কর্মকর্তা অসিত সূত্রধরের সঞ্চালনায় ৪ দিনব্যাপী শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

শেষে রাত ৯টায় দরিদ্র অসহায় মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি জি.ডি. রুমু।

উপ-কমিটির সদস্য সচিব রজত কান্তি ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের ট্রাস্টী সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু বলেন, ‘বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে আমরা মায়েদের দুর্গোৎসবের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারি।’

তিনি সকলকে নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শ্রীশ্রী মহালক্ষ্মী ভৈরবী গ্রীবাপীঠ জৈনপুর সিলেটের সভাপতি শিবব্রত ভৌমিক চন্দন, শিক্ষক সমীরণ পুরকায়স্থ, পরিষদের পৃষ্ঠপোষক অশোক রঞ্জন চৌধুরী, পৃষ্ঠপোষক ববিতা বর্মণ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৬শতাধিক দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। 

৪ দিনব্যাপী মহালয়া উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সিলেটের দল মত নির্বিশেষে মহামায়ার সকল ভক্ত সজ্জন, প্রশাসন সহ শ্রীশ্রী বলরাম জিউর আখড়া কর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী অব. শিক্ষক স্বপন চক্রবর্ত্তী, সভাপতি এ্যাপেক্সিয়ান জি.ডি. রুমু ও সাধারণ সম্পাদক ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজার দীপক কুমার দাশ।