https://www.emjanews.com/

9930

sports

প্রকাশিত

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০০

আপডেট

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০২

খেলাধুলা

বিসিবি নির্বাচন: আমিনুল–তামিম লড়াইয়ের আড়ালে সরকার-বিএনপি দ্বন্দ্ব

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০০

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে ঘিরে আবারও সামনে এসেছে রাজনীতির প্রভাব। আগামী ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক-আমিনুল ইসলাম ও তামিম ইকবাল। খেলোয়াড়ি জীবনে দুজনই ছিলেন দেশের ক্রিকেটের সাফল্যের প্রতীক। কিন্তু এবার তাঁদের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার বনাম বিএনপির প্রভাব বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

সরকারপন্থী আমিনুল

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত কাউন্সিলর হিসেবে গত মে মাসে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। শুরুতে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন দিয়েই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হয়ে নিজেই প্রার্থী হয়েছেন পরিচালক পদে। সেখান থেকে সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, তাঁর প্রার্থিতার পেছনে সরাসরি ভূমিকা রয়েছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার।

বিএনপিপন্থী তামিম

অন্যদিকে, এ বছরের জানুয়ারিতে অবসর নেওয়া তামিম ইকবালও নাম লিখিয়েছেন বিসিবি নির্বাচনে। ওল্ড ডিএইচএসের কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। নির্বাচনে জয়ী হলে সভাপতির লড়াইয়েও অংশ নেবেন বলে আলোচনায় আছে। সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক সাংসদ আলী আসগর লবি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তামিমই তাঁদের প্রার্থী। লন্ডন থেকে বিএনপির হাই কমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েই এই ঘোষণা দেন তিনি। এরপর থেকেই বিএনপিপন্থী সংগঠকেরা তামিমের নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হয়েছেন।

মনোনয়ন নিয়ে আইনি জটিলতা

কাউন্সিলর মনোনয়নকে ঘিরেই শুরু হয়েছে মূল বিতর্ক। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের চিঠি দিয়ে জানান, কাউন্সিলর হতে হবে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে। কিন্তু তামিমের শিবিরের দাবি, গঠনতন্ত্রে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কারণে বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। হাইকোর্টে রিট হওয়ার পর আপিল বিভাগ শুনানির তারিখ দিয়েছেন ২৮ সেপ্টেম্বর।

কাউন্সিলর তালিকায় রাজনীতির ছাপ

ইতিমধ্যে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকাতেও দেখা যাচ্ছে রাজনীতির প্রভাব। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, বরকতউল্লা বুলু ও সাইফুল আলম নীরবের ছেলেরা বিভিন্ন ক্লাবের কাউন্সিলর হয়েছেন। অপরদিকে সরকারপন্থী অনেক কাউন্সিলরের নামও এসেছে তালিকায়। ফলে নির্বাচনী মাঠে দুই পক্ষই রাজনৈতিক ছায়ায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

ক্রিকেট নয়, রাজনীতি

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে রাজনীতির প্রভাব নতুন নয়। অতীতেও সরকার সমর্থিতরা নেতৃত্বে আসতেন। তবে এবারের বিশেষত্ব হলো-প্রথমবারের মতো দুই সাবেক অধিনায়ক সরাসরি সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন এবং তাঁদের পেছনে সক্রিয় দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। ফলে বিসিবির নির্বাচন এখন আর কেবল আমিনুল-তামিমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সরকার বনাম বিএনপির মুখোমুখি লড়াই।