https://www.emjanews.com/

10686

sylhet

প্রকাশিত

২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১১

আপডেট

২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২৯

সিলেট

কোম্পানীগঞ্জে আলফু বাহিনীর বালু লুট চলছে: ৪ বারকিসহ ১ জন আটক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১১

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে আলফু বাহিনীর বালু লুট চলছে।ধলাই নদীর এম সাইফুর রহমান সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারটি বার্কি নৌকা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আলফু বাহিনীর এক বালু চোরকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, আটক ব্যক্তির নাম সিরাজী (৪৫)। তিনি ডাকাঘর গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।

অভিযোগ রয়েছে, ধলাই ব্রিজের নিচসহ কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা ও ৩নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু এবং সিলেট জেলা যুবদলের একাধিক নেতা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন। বর্তমানে কারাগারে থাকা আলফুর পক্ষে তার ছেলে বায়েজিদ এই বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ বালু লুটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। এর মধ্যে ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ আলীর ছেলে ও উপজেলা যুবদলের সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং শওকত আলীর নামও শোনা যাচ্ছে।

অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ধলাই নদীর আশপাশের গ্রামগুলোতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে। বেরিবাঁধসহ আশপাশের এলাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে, ইসলামপুর বাজার (বুধবারি বাজার) থেকে ঢালারপাড় চকবাজার পর্যন্ত নদীর দুই পাড় ঘেঁষে দিনরাত বালু তোলা হচ্ছে। এর ফলে বেরিবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মোস্তফানগর বাইতুন আমান জামে মসজিদের বাউন্ডারির একেবারে পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, যা মসজিদটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। এছাড়া মোস্তফানগর, শওকত নগর, ঢালারপাড়, দক্ষিণ ঢালারপাড়, উত্তর রাজনগর, ইসলামপুর বাজার ও চকবাজার এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে এসব ফসলি জমিতে আমন ধান, বাদাম, তরমুজসহ নানা শস্য উৎপাদন হতো। কিন্তু এখন এসব জমি নদীতে পরিণত হয়েছে। রাজনগর ভোলাই কবরস্থানও প্রায় বিলুপ্তির পথে।