ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ইনিংস শেষেই যেন জয়টা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের ১৭৬ রানের রেকর্ডভাঙা ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল এমন এক ভিত্তি, যার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরগতির উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও যখন শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখনই বোঝা যাচ্ছিল-এই পিচে উইন্ডিজ ব্যাটারদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন সময়। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। ২৯৬ রানের জবাবে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ১৭৯ রানের রেকর্ড জয় এনে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে।
মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নেমে সৌম্য-সাইফ জুটি এনে দেন ১৭৬ রান- দেশের মাটিতে প্রায় এক দশক পর দেড়শ রানের ওপেনিং জুটি দেখল বাংলাদেশ।
সাইফ ৭২ বলে ৮০ রান করে ফেরেন, সৌম্য আউট হন ৯১ রানে। এরপর তাওহীদ হৃদয় (২৮) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪) কিছুটা স্থিতি আনলেও মাঝের ওভারে রানের গতি কমে যায়।
শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ৮ বলে ১৬ ও মিরাজের ১৭ বলে ১৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ২৯৬ রানে।
জবাবে উইন্ডিজের ব্যাটিং শুরু থেকেই বিপর্যস্ত। নাসুম আহমেদ আগুন ঝরান নতুন বলে। প্রথমেই ফেরান এথানেজকে, এরপর আগুস্তেকে এলবিডব্লিউ করেন রিভিউতে। পরে বোল্ড করে ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে- তখন উইন্ডিজের স্কোর মাত্র ৩৫/৩।
দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে আশা জাগানো ইনিংস খেলা শেই হোপও আজ ব্যর্থ। তানভীর ইসলামের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শান্তর হাতে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উইন্ডিজ।
মধ্য ওভারে বল হাতে আলো ছড়ান রিশাদ হোসেন। ধারাবাহিক আক্রমণে ফেরান রাদারফোর্ড ও রস্টন চেসকে। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ নেন দুটি উইকেট, আর বাকি উইকেট ভাগাভাগি করেন তানভীর ও রিশাদ।
ফল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে হারে ১৭৯ রানে, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জয়ের একটি।
বাংলাদেশ ২৯৬/৮ (৫০ ওভার): সৌম্য সরকার ৯১, সাইফ হাসান ৮০, শান্ত ৪৪, আকিল হোসেইন ৪/৪৯।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ (২৮.৫ ওভার): রিশাদ হোসেন ৩/২৫, নাসুম আহমেদ ৩/৩২, মিরাজ ২/১৫।
ফলাফল: বাংলাদেশ জয়ী ১৭৯ রানে (সিরিজ ২–১)
                        
                        