ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেটিং বা জুয়ার বিস্তার রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও পাচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল ‘চিলি ফ্লেক্স স্টুডিও’-র একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ক্রিকেটে বেটিং বন্ধ করা। আমি জানি, এতে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি আসতে পারে। প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা ছয়জনকে ধরতে পেরেছি। বেটিংয়ের নেটওয়ার্কটা অনেক বড়। কিন্তু আমরা এটাকে যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি- যা হওয়ার হবে।’
চলতি বছরের আগস্টে বিসিবি এক বছরের জন্য সাবেক আইসিসি গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (এসিএইউ)-এর প্রধান অ্যালেক্স মার্শালকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
বুলবুল জানান, তাদের দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (বিসিবি-এসিএইউ) আরও শক্তিশালী করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছি। অ্যালেক্স মার্শালকে পরামর্শক হিসেবে এনেছি। আমরা সাবেক পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিচ্ছি। ইউনিটটাকে খুব শক্তিশালী করে তুলছি।’
বুলবুল আরও জানান, ক্রিকেটে বেটিংয়ের জাল কতটা গভীর, তা তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
‘আমরা জেনেছি, স্টেডিয়ামের আশপাশের ভবন এক লাখ টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়, আর সেখান থেকেই বেটিং হয়। এই নেটওয়ার্ক এত বড় যে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ঢোকার চেষ্টা করে। একদিনে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে ধীরে ধীরে বন্ধ করব।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও নিজের ভাবনা তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাদের আন্তর্জাতিক ভেন্যু আছে ৩০টির বেশি। তারা এখন মনিপুর, নাগাল্যান্ড, আসামের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা চাই, আমরাও এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ক্রিকেট কাঠামো গড়ে তুলব।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘সবাই ক্রিকেট খেলবে। জাতীয় দলের জন্য একটা মানদণ্ড থাকবে। কিন্তু এখানে মা মেয়ের সঙ্গে খেলবে, ছেলে বাবার সঙ্গে খেলবে। ক্রিকেট একটা করপোরেট সংস্কৃতিতে রূপ নেবে।’
                        
                        