ছবি- গুগল
নয়ন নিমু: ক্রিকেটকে বলা হয় রাজকীয় খেলা। আর তার অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেট। দীর্ঘ সময়ের ধৈর্য, কৌশল আর মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা টেস্ট।
দেখতে দেখতে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ পেরিয়ে এল তার ২৫ বছরের পথ। এই এক চতুর্বিংশ শতকে বদলেছে খেলার ধরন, এসেছে প্রযুক্তি, বেড়েছে গতি, তবে কমেনি টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চ ও মর্যাদা।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। এরপর ২০০০ সালের জুনে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। সেই বছরের ১০ নভেম্বর, ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ শুধু একটি খেলা ছিল না; এটি ছিল কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণের দিন। তৎকালীন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তখনকার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রীসহ হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে একটি দেশের ক্রিকেট পরিচয়ের সূচনা হয় সাদা পোশাকে।
নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের নেতৃত্বে সেদিন সেঞ্চুরি হাঁকান বিসিবি বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এরপর ধীরে ধীরে এগিয়েছে টাইগারদের টেস্ট যাত্রা। এসেছে স্মরণীয় জয়, গৌরবময় মুহূর্ত, আবার চ্যালেঞ্জ আর হতাশাও পিছু ছাড়েনি।
এসেছে মুশফিক, তামিম, সাকিব, মাশরাফি, রিয়াদ, আশরাফুল, রাজ্জাক এর মত নাম। এখনো খেলে যাচ্ছেন মমিনুল-লিটন-তাসকিন-মোস্তাফিজরা।
সেই সময় পেস বোলিং ইউনিট ভুগিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেখানে দারুণ উন্নতি করে এখন তারকা পেস বোলার তাসকিন-মোস্তাফিজ-খালেদ-ইবাদত-হাসানরা ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
এই দীর্ঘ ২৫ বছরের টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশী ভাবিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। বুলবুল, আকরাম, বাশার, পাইলট, রাজিন আশরাফুলদের পর তামিম, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদরা ছিলেন ব্যাটিং স্তম্ভ!
তবে ধারাবাহিকতার অভাবসহ নানা অজানা কারণে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করতে পারে নি।
তবে সব সময়কার মত বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকেরা আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
