
ফাইল ছবি
আজ ২৪ জুন, ফুটবল ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ ৩৮ বছরে পা রাখলেন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম নেওয়া ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ১৯৮৭ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া এই মহাতারকা ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর থেকে শুধু রেকর্ডই গড়েননি, লিখেছেন ইতিহাস। বিশ্বকাপজয়, অগণিত শিরোপা ও পরিসংখ্যান ভেঙে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন 'সর্বকালের সেরা' হিসেবে।
মেসির ৩৮তম জন্মদিনে তাঁর ফুটবল জীবনের ৩৮টি রেকর্ড এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো-
ক্লাব ফুটবলে মেসির রেকর্ড
ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন ৮টি ব্যালন ডি’অর। বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭৮ ম্যাচ ও ৬৭২ গোলের মালিক। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৪৭৪ গোলের রেকর্ড। লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ গোলের রেকর্ড (২০১১-১২), সর্বোচ্চ ১৯২টি অ্যাসিস্ট, এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১টি অ্যাসিস্ট।, লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬টি হ্যাটট্রিক এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮টি হ্যাটট্রিক, এক বর্ষে সর্বোচ্চ ৯১ গোল করেছেন (২০১২), এল ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ২৬ গোল (৪৫ ম্যাচে), বিদেশি হিসেবে লা লিগায় সর্বোচ্চ ৫২০ ম্যাচ, নন-স্প্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ ১০টি লিগ শিরোপা জয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে কম ম্যাচ (১২৩) খেলে ১০০ গোল পূর্ণ, ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সর্বোচ্চ ৪৯৬ গোলের মালিক, ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু সবচেয়ে বেশি (৬ বার) জয়. পিচিচি ট্রফি (লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা) সর্বোচ্চ ৮ বার, এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৭ ম্যাচে গোল করা খেলোয়াড় (লা লিগা ২০১২-১৩), চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১৮ মৌসুমে গোল করার কীর্তি, ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৭৮ গোল, ৪০টি আলাদা দলের বিপক্ষে গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ৫ গোল করা প্রথম খেলোয়াড়, উয়েফা প্রতিযোগিতায় এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৩ গোল।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেসির রেকর্ড
আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা (১১২), আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৩টি ম্যাচ, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে ছিলেন (২,৩১৪ মিনিট), বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৩ গোল ও ৮ অ্যাসিস্টে জড়িত (মোট ২১ গোলে ভূমিকা), বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা আর্জেন্টাইন (১৮ বছর ৩৫৭ দিন), চারটি আলাদা বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র আর্জেন্টাইন।
পাঁচটি ভিন্ন বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট দেওয়া একমাত্র খেলোয়াড়, . বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল-সব ধাপে গোল করা একমাত্র ফুটবলার, অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৯ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকা খেলোয়াড়, (মালদিনিকে টপকে)।, বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জয় করেছেন দুইবার- ২০১৪ ও ২০২২ , বিশ্বকাপসহ জাতীয় দলের হয়ে রেকর্ডসংখ্যক সাফল্য, চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্ব ও শেষ ষোলোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা, আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (রোনালদোর পর), খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি শিরোপা জয়, . টানা ৪ বার ব্যালন ডি’অর জেতা একমাত্র খেলোয়াড় (২০০৯-২০১২), ইন্টার মায়ামির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা (৫০ গোলের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম ফুটবলার)।
এই রেকর্ডগুলো শুধু সংখ্যার খেলা নয়, লিওনেল মেসির ফুটবল-সফরের জীবন্ত সাক্ষী। বিশ্বকাপজয়ী, নেতৃত্বগুণে উজ্জ্বল এবং মাঠে নিখুঁত কারিগরির প্রতীক মেসি কেবল একজন ফুটবলার নন, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের এক অনন্য সংস্কৃতি। জন্মদিনে শুভকামনা ফুটবলের জাদুকরকে।