
ছবি: ইমজা নিউজ
টিলা ও পাহাড় হচ্ছে পৃথিবীর পেরেক যা ভূমিকে করেছে মজবুত, শক্ত, আমাদের দৃঢ়ভাবে দাড়াঁবার জন্য উপযোগী। আর সৌন্দর্য্য প্রকৃতির অকৃপণ দান।
সেদিক থেকে বলা যায় সিলেটের ভূ-প্রকৃতি সৃষ্টিকর্তার এক নান্দনিক শিল্পকর্ম।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের আমাদের এ জনপদকে পরিচিত করেছে অপরুপ সৌন্দর্যের আধার হিসেবে। কিন্ত সে সম্পদসমূহের সদ্ব্যবহার আমরা করতে পারিনি এবং পারছি না। এর লাগামহীন ব্যবহার আজ সিলেটকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সিলেট বিভাগের চার জেলার ৪১ উপজেলার মধ্যে ২৪টি উপজেলার ভূমিরূপ হচ্ছে উচঁ নিচু টিলাভূমি। সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, মৌলভী বাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট এবং বাহুবল উপজেলায় টিলা আছে।
প্রাকৃতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক দিক দিয়ে টিলার গুরুত্ব অনেক। টিলা হচ্ছে পৃথিবীর খুঁটি। পবিত্র কোরান শরীফে টিলাকে পেরেক হিসেবে বলা হয়েছে।
মানুষের কল্যাণেই প্রাকৃতিকভাবেই তৈরী হয়েছে এক একটি টিলা। বনাঞ্চলের বেশিরভাগই পাহাড় টিলার উপর অবস্থিত।
এছাড়াও সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে চা বাগানগুলোও পাহাড় টিলার উপর অবস্থিত।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জহির বিন আলমের এক লেখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিলেটে ১১% ভুমি পাহাড় এবং আরও ১৭.৮% উঁচু ভূমি রয়েছে। সিলেটের প্রায় ৬৬ হাজার হেক্টর বনাঞ্চলের ২৩% পাহাড় ও টিলার উপর অবস্থিত।
শ্রেণী: ভূ-তত্ববিদরা সিলেটের টিলাগুলোকে চার ভাগে ভাগ করেছেন।
ছাতক শ্রেণী: এ শ্রেণীতে ৪৪ মিটার (১৪৩-১৪৪ ফুট) পর্যন্ত উঁচু টিলা রয়েছে। প্রায় ৬৫ বর্গকিলোমিটার (২৫ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে উত্তর -পশ্চিম হতে উত্তর-পূর্বে এ শ্রেণীর টিলাগুলো বিস্তৃত।
সিলেট শ্রেণী: এ শ্রেণীর টিলাগুলো উত্তর-পূর্ব হতে দক্ষিণ-পশ্চিমে বিস্তৃত। সুরমা নদীর দক্ষিণে সর্বোচ্চ টিলার উচ্চতা ৩২ মিটার। নদীর উত্তরে অনেক টিলা আছে। এদের মধ্যে ৯১ মিটার (৩০০ফুট) উচ্চুার টিলা রয়েছে। প্রায় ১৮৬ বর্গকিলোমিটার (৭২ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে এ শ্রেণীর টিলা বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ টিলা শ্রেণী: প্রায় ৭৭.৭ বর্গকিলোমিটার (৩০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে এ শ্রেণীর টিলা বিস্তৃত রয়েছে। এ শ্রেণীর টিলার সর্বোচ্চ টিলার উচ্চতা ৬৩.৩ মিটার (২০৯ ফুট)। প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণে ইটা পাহাড় শ্রেণী ও উত্তরে লালাখাল পাহাড় শ্রেণীর মাঝামাঝি।
বিয়ানীবাজার টিলা শ্রেণী: এ শ্রেণীর টিলার সর্বোচ্চ টিলার উচ্চতা ৩০.৩ মিটার (১০০ ফুট)। প্রায় ৫১.৮ বর্গকিলোমিটার বা ২০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এ শ্রেণীর টিলা বিস্তৃত। এ টিলা শ্রেণী প্রকৃতপক্ষে পাথারিয়া পাহাড় শ্রেণীর একটি শাখা।
পৃথিবীর খুঁটি টিলা আজ হয়ে গিয়েছে আমাদের টাকার খনি! গাইতি শাবল দিয়ে টিলা কাটা শুরু হয়েছিল, এখন চলে যন্ত্র। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাল্টে, যাচ্ছে পাল্টে গিয়েছে ভূমির প্রকৃতি ও প্রকৃত চেহারা।
এসব বেআইনি বা অবৈধ কাজের পেছনে সাধারণ জনগণ জড়িত - তা কিন্তু নয়। এখানে আমরা সবাই লোভাতুর। সরকারি দপ্তর থেকে আমরা আমজনতা পর্যন্ত, সচেতন এবং অসচেতন সবাই!
আমরা এখন দেখি টিলা কাটার কারণগুলো কী ?
সরকারি উদ্যোগ: কেনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টিলা কাটা হচ্ছে। সরকারি ভবন নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ বা বর্ধিতকরণসহ বিভিন্ন কাজে টিলা কাটা হচ্ছে। যেমন:
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় টিলা কেটে শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে;
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছে টিলা কেটে;
সিলেট কোম্পানীগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করতে সদর উপজেলা বড়শালা এলাকায় টিলা কাটা হয়েছে;
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছে টিলা কেটে;
প্রাণীসম্পদ বিভাগ দৃষ্টি নন্দন ভবন নির্মাণ করেছে টিলা কেটে;
সড়ক ও জনপথ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাস্তা বর্ধিতকরণের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রাখার স্টেক ইয়ার্ডের ভুমি উন্নয়নের জন্য চিকনাগুল এলাকায় টিলা কেটে মাটি নেওয়া হয়েছে;
তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যে সার্ভে কার্যক্রম (সিসমিক সার্ভে) পরিচালনা করা হয়, সেক্ষেত্রেও স্থান হিসেবে বন ও টিলাকে নির্বাচন করা হয়। এ কাজের সময় ভূমি প্রচন্ডভাবে প্রকম্পিত হয়, পাশ্ববর্তী বড়িঘরে ফাটল দেখা দেয়, এতে করে টিলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
শাহ আরফিন টিলাকে পাথর কোয়ারি হিসেবে ইজারা প্রদান করে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
ব্যক্তি উদ্যোগ: টিলা প্রকৃতিক সম্পদ থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে বেশি। মনোযোগ পাচ্ছে মুনাফার উপাদান হিসেবে। কোথাও টিলা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ করে আবার কোথাও আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে। বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, রিসোর্ট নির্মাণ, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাথর ও বালু উত্তোলন করে টিলাকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা: টিলাকে বা প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যেসব দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আছেন তাদের দায়িত্ব যথযথভাবে পালনের অভাবেই আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ টিলাকে নিশ্চিহ্ন হতে দেখছি। যেখানে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ প্রয়োজন সেখানে সরকার নিজেই টিলা/ পাহাড় কেটে ‘উন্নয়নমূলক’ কাজ করছে।
আইন প্রয়োগের অভাব: বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আইন আছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান টিলা কাটার প্রতিযোগিতা এটাই প্রমান করে আইন ও আদালতের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এছাড়া সিলেট জেলার সদর ও মহানগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার উপজেলায় (মামলাভুক্ত উপজেলায়) ২০০৯ সালে টিলার সংখ্যা ছিলো ১০২৫ এবং বর্তমানে এ সংখ্যা নেমে এসছে ৫৬৫টিতে। সুতরাং তুলনামূলক তথ্য বিশ্লেষণ করলেই অনুধাবন করা যায় কতখানি আইনের সফল বা কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে!
প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ পাহড়/টিলাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে করে প্রকৃতির স্বাভাবিক অবস্থার একটি পরিবর্তন ঘটছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বন ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস: টিলা কাটার ফলে অনেক বন ধ্বংস হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক বন সমৃদ্ধ টিলা থেকে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে একদিকে যেমন বন হারিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বনে বসবাসকারী জীবজন্তুও কমতে থাকে। যেহেতু সিলেটের প্রায় ৬৬ হাজার হেক্টর বনাঞ্চলের ২৩% পাহাড় ও টিলার উপর অবস্থিত। স্বাভাবিকভাবেই টিলা কাটার সাথে সাথে বনের পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে। ইদানিং প্রায়শই দেখা যায় বিষধর সাপ এবং মেছোবাঘ লোকালয়ে এসে প্রবেশ করছে। এর প্রধান কারণ হলো তাদের আবাসস্থল পাহাড়, বন কমে আসছে এবং সেখানে তারা অনিরাপদ।
ভূমি ধ্বস: সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে টিলা ধসের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমে কয়েক ঘন্টার ভারী বর্ষণে টিলা ধসের ঘটনা ঘটছে। এর জন্য দায়ী হলো টিলা কাটা। কর্তনকৃত টিলার মাটির স্থায়িত্ব নষ্ট হয়, বৃষ্টির পানি সহজেই টিলার ভেতরে প্রবেশ করে মাটির গঠনেরও পরিবর্তন হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রবল বর্ষণের সময় টিলা ধ্বস হয়।
চা শিল্পের ক্ষতি: হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে অনেক টিলা আছে যেগুলো খুবই মূল্যবান সিলিকাবালু সমৃদ্ধ। বেশিরভাগ চা বাগান এসব টিলার উপর অবস্থিত। চা বাগানের ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে টিলা, চা গাছ এমনকি চা বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সুতরাং চা শিল্পও হুমকীর মুখে পড়েছে।
প্রাণহানি: প্রতিবেশ ব্যবস্থা ধ্বংসের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যু। কর্তনকৃত টিলা ধসের কারণে মাটি চাপা পড়ে মারা যাচ্ছেন মানুষ। বর্তমানে এটি একটি দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। তবে এটা প্রাকৃতিক না মানবসৃষ্ট। প্রতি বছরই বৃষ্টির মৌসুম আসলে শুরু টিলা ধস, ঘটে হতাহতের ঘটনা। একটা শ্রেণী এর জন্য দায়ী করেন অতিবৃষ্টিকে।
দুর্ঘটনাকে তরান্বিত করে: সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে পড়ে এবং ডাউকি ফল্ট এলাকায়। সেজন্য পাহাড় বা টিলা কাটার ফলে ভূমি ধ্বস বা ভূমিকম্পজনিত ক্ষতির আশংকা অনেকটাই বেড়ে যায়। পাহাড় কাটার সাথে ভূমিকম্পের কোনো যোগসূত্র নেই। যেহেতু টিলা কাটার পর টিলার নিচের মাটি সমতলের মাটির চেয়ে কম স্থায়িত্বশীল, তাই টিলা কেটে ভবন তৈরি করলে ভূমিকম্পের সময় ক্ষতির আশংকা থাকে বেশি। এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, টিলা কেটে বাড়ি ঘর বানালে ক্ষতির আশংকা বেশি থাকে। কারণ টিলার নিচের মাটি সমতলের মাটির মতো ভার সহনশীল থাকে না।
প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবস্থার ক্ষতি;
রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক ক্ষতি (রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোর ক্ষতি);
আইন ও আদালতকে মান্য না করার প্রবণতা বৃদ্ধি।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন(সংশোধনী) ২০১০ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা -২০২৩ এ পাহাড় কাটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ টিলাকে রক্ষা করার জন্য জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) উচ্চ আদালতে একাধিক রিট মামলা করেছে।
উচ্চ আদালত পাহাড় রক্ষা, অননুমোদিত পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দখলকারীদের উচ্ছেদ এবং অবশিষ্ট পাহাড়ের আর কোন ক্ষতি, ধ্বংস, কাটা বা ধ্বংস প্রতিরোধ এবং তাদের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থ, জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশ দিয়ে ২০১২ সালে ১ মার্চ রায় প্রদান করেন।
কিন্তু সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বলা যায় কর্তৃপক্ষ আদালতের রায়ের কার্যকর বাস্তবায়ন থেকে এখনও বহু বহু দূরে আছেন। কারণ কর্তৃপক্ষের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই যে, আমাদের এ মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ কোথায় কোন অবস্থায় আছে। কিংবা সুরক্ষিত আছে না অরক্ষিত! সংরক্ষণ করার আগে জানতে হবে প্রকৃত অবস্থা কী ।
এখনও সময় আছে, প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য কিছু কাজ অবশ্যই করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি। সেগুলো হলো:
যেখানে টিলা ভূমি আছে কিন্ত রেকর্ডে উেল্লেখ নেই, সেসব টিলাকে সরকারী রেকর্ডভুক্ত করতে হবে;
এসএ রেকর্ড অনুযায়ী টিলার প্রকৃত সংখ্যা এবং আয়তন কত ছিলো তার তালিকা করা;
বর্তমানে টিলার সংখ্যা কত এবং আয়তন কত তার তালিকা করা;
ঝুঁকিপূর্ণ টিলার তালিকা করা;
টিলার পাদদেশে বা টিলার উপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের তালিকা করা এবং ভূমিহীনদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
সরকারি, বেসরকারী কাজে টিলাকাটা বন্ধ করতে হবে;
আইন এবং আদালতের রায় সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগাতে হবে;
দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে (সাধারণ জনগণ থেকে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষসহ);
সরকারি তত্বাবধানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পাহাড়/টিলা সংরক্ষণ কমিটি গঠন করতে হবে।
লেখক: আইনজীবী, পরিবেশ কর্মী, কবি, নাট্যকার।