চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩০

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অনশন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের অনশন। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এই অনশনে এখন পর্যন্ত নয়জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জশদ জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, রাজনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, দপ্তর সম্পাদক নাইম শাহজাহান, নারী অঙ্গনের সংগঠক ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা, ক্যাম্পাসে নিরাপদ আবাসনের নিশ্চয়তা, হামলার ভিডিও প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২১ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসন কোনো খোঁজ নেয়নি। প্রক্টরিয়াল বডি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গুপ্ত হামলা, নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষে প্রশাসনের ব্যর্থতা প্রমাণিত। প্রশাসন রাজনৈতিক সহযোগীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে আমাদের সাত দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন এবং সহকারী প্রক্টর কোরবান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে কোরবান আলীর ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নের অপচেষ্টা যারা করবে, শিক্ষার্থীদের সমর্থন তারা পাবেন না।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করে আসছেন। ৪ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি ও মশালমিছিল শেষে প্রক্টর অফিসে লাল রং ছিটিয়ে আলটিমেটামও দেন তাঁরা।