https://www.emjanews.com/

10136

law-justice

প্রকাশিত

০১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০১

আইন আদালত

জামিন পেলেও মুক্তি পাননি সিলেটের দুই বাসদ নেতা

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০১

ছবি: সংগৃহীত।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের পক্ষে আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেও নতুন দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় কারাগার থেকে মুক্তি পাননি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল।

আইনজীবীদের মতে, আদালতের জামিন আদেশ কার্যকর না করে এভাবে আটকে রাখা বেআইনি।

গত শনিবার সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার কার্যালয় থেকে আলোচনার কথা বলে দুই নেতাকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এ সময় বাসদ নেতাদের খোঁজ নিতে যাওয়া অটোরিকশা শ্রমিক সৈকত ও রনিকে একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাসদ নেতা নাজিকুল রানা অভিযোগ করেন, মামলার এজাহারে যে তারিখ, স্থান ও কর্মসূচির উল্লেখ আছে, সেদিন সেখানে অন্য একটি সংগঠনের কর্মসূচি চলছিল। এ ঘটনায় আবু জাফর ঢাকায় একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবুও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে সোমবার সকালে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মো. শরিফুল হক দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের আদেশ সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে পৌঁছালেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান জানান, সোমবার রাতে নতুন দুটি মামলার ওয়ারেন্ট আসে। তাই জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরে মঙ্গলবার সকালেই ওয়ারেন্ট কার্যকর করা হয়।

এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, সোমবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় নতুন দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা রুহেল মিয়া, অপরটি গাড়িচালক ইব্রাহিম মিয়া। দুটি মামলাতেই আবু জাফর ও প্রণব জ্যোতি পালকে আসামি করা হয়েছে।

তবে এভাবে জামিনপ্রাপ্ত আসামিকে আটকে রাখা বেআইনি দাবি করে সিলেট জেলা বারের আইনজীবীরা বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশে আসামি আটকে রাখতে বা মুক্তি দিতে পারে। পুলিশের নির্দেশে আটকিয়ে রাখার কোনো এখতিয়ার নেই।’

এ ঘটনায় স্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।