তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের পঞ্চম দিনের আপিল শুনানি বুধবার
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪২
                                                            ছবি: সংগৃহীত।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি আগামীকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাতজন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
পূর্ববর্তী দিনগুলোর শুনানিতে বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেছেন। ২৩ অক্টোবর তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়, সেখানে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয় রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া দ্বারা। ২১ অক্টোবর প্রথম দিন শুনানি শুরু হয়।
এর আগে ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে রিটকারী পক্ষ আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১০ মে সাতজন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন। এর পর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ পাস হয় এবং ৩ জুলাই ২০১১ তারিখে গেজেট প্রকাশিত হয়।
সরকার পরিবর্তনের পর ৫ আগস্ট সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। অন্যরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে পৃথক আবেদন করেন।
                        
                        