ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেসিনো ব্যবসার মাধ্যমে হঠাৎ আলোচনায় আসা যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন। অবৈধভাবে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ অস্ত্র রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ দণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানার ভূঁইয়া ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে সম্রাটের দেখানো স্থান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না, যা অস্ত্র আইনের গুরুতর অপরাধ। ওই দিনই সম্রাট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে র্যাব সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে (ভূঁইয়া ম্যানশন) অভিযান চালায়। সেখানে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য এবং বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
এরপর থেকে একে একে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করে, যা এখনো বিচারাধীন। একইভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আরেকটি মামলাও বর্তমানে আদালতে চলমান।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে অস্ত্র মামলার এ রায়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করলেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১১ মে জামিনে মুক্তি পান সম্রাট। এরপর থেকে তিনি আলোচনার আড়ালে ছিলেন।
                        
                        