শিরোনাম
সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কর্মবিরতি নিয়ে মুখোমুখি দুই পক্ষ নবীগঞ্জে কয়েক দিনের স.হিংসতায় নি.হত ২, লুটপাট ও ভাঙচুর, শহরে ১৪৪ ধারা জারি মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল আলবদর রাজাকারবাহিনী একেক সময় একেক কথা বলছে: হাসান মাহমুদ টুকু বেগম জিয়া‌কে স্লো পয়জ‌নিং ক‌রে হ.ত্যা কর‌তেই গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছিল আওয়ামী লীগ: মির্জা আব্বাস জেলা ও মহানগর বিএনপির মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; আশাবাদ মির্জা ফখরু‌লের বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে পৌঁছেছেন পরিবহন ধর্মঘটে ভাঙ্গন: মঙ্গলবার জামায়াতপন্থী মালিকদের গা‌ড়ি চল‌বে

https://www.emjanews.com/

6940

sylhet

প্রকাশিত

০৫ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৪

আপডেট

০৫ জুলাই ২০২৫ ২৩:৪৬

সিলেট

জুড়ীতে চা শ্রমিক দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু

বিষপানের ধারণা পুলিশের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৪

জুড়ি থানা ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা-বাগানের এলবিনটিলা ফাঁড়িতে এক চা শ্রমিক দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন-সারি বুনারজি (৩৮) ও দিলীপ বুনারজি (৪৭)। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে নিজ ঘরে ও রাস্তার পাশে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নিহতদের ছোট ছেলে লিটন বুনারজি (৮) ঘুম থেকে উঠে মাকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে অনেক ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে বাইরে গিয়ে দেখে, রাস্তায় বাবাও নিস্তেজ পড়ে আছেন। এরপর সে দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। প্রতিবেশীরা গিয়ে দুজনকেই মৃত অবস্থায় পান।

এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হরগোবিন্দ গোস্বামী বলেন, ‘শিশু লিটনের ভাষ্যমতে, তাদের পরিবারে কোনো ঝগড়া বা অশান্তি ছিল না। আগের রাতে সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিল।’

দম্পতির বসতঘরের সামনে একটি বিষের খালি বোতল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। বিষের খালি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দম্পতির বড় ছেলে ঢাকায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। মেয়ে দাদার বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে লিটন মা-বাবার সঙ্গে থাকতো। তাদের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।