
ছবি: সংগৃহিত।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ও জেলা কারাগারের পক্ষ থেকে সদর ও টুঙ্গিপাড়া থানায় এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এতে মোট ১,৪৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল ইসলাম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ইফতি জামান পল্লবসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১,০০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় আরেকটি মামলা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি চৌরঙ্গী মোড়সহ আশপাশ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, যান চলাচলে বিঘ্ন, ভয়ভীতি ও ভাঙচুরের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মসূচি ব্যাহত করতে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায়।
এই সহিংসতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় এখন পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে মোট ৬০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৯,২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৩৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এনসিপি সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে এবং রাতেই জারি করা হয় কারফিউ।