শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7621

sylhet

প্রকাশিত

২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:১৪

আপডেট

২৪ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫১

সিলেট

সিলেট-৫ আসন

ধানের শীষে প্রার্থী হতে চান যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম মামুন

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:১৪

ছবি: সংগৃহিত।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও প্রবাসী নেতা শহিদুল ইসলাম মামুন।

ছাত্রজীবনে মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মামুন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তিনি। যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ প্রবাসজীবনে দলের পক্ষে কাজ করার পাশাপাশি, আন্দোলন-সংগ্রামেও অংশ নিয়েছেন।

২০১৮ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে কারাবরণ করেন। শহিদুল মামুন বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে হামলা-মামলার মুখে প্রবাসে যেতে বাধ্য হয়েছি। তবুও আদর্শচ্যুত হইনি।’

তিনি জানান, তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনুরোধে ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এ আসনে মনোনয়ন চান। তার ভাষায়, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট অঞ্চলের অবহেলিত মানুষকে উন্নয়নের স্রোতে যুক্ত করাই হবে আমার লক্ষ্য। প্রবাসে অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করব।’

তার পিতা এম এ হাফিজ সমছু জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। পারিবারিকভাবেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মামুন সামাজিক কাজেও সক্রিয়। তিনি জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী শহিদুল মামুনকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা এমন প্রার্থী চাই, যিনি দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।’
জকিগঞ্জের বিএনপি নেতা জাকারিয়া বলেন, ‘শহিদুল মামুন শুধু নিজের এলাকার নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন।’

এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি সরাসরি প্রার্থী দেয়নি। ১৯৯১ সালে হারিস চৌধুরী ও ১৯৯৬ সালে এম এ মতিন প্রার্থী ছিলেন। এরপর জামায়াত-জমিয়তকে আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এবার তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীতার দাবি তুলেছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম মামুন ছাড়াও রয়েছেন-সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আশরাফ খান, আমিরাত বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন এবং প্রয়াত হারিস চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রার্থী নির্ধারণে সিদ্ধান্ত দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শহিদুল মামুন বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই মিলে তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।’