
ছবি: সংগৃহিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ এখনো ঘোষণা না হলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য রাজধানীতে বাসা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এজন্য হেয়ার রোডের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলো এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
গেল ৭ জুলাই মন্ত্রণালয় গঠন করে একটি ছয় সদস্যের কমিটি, যার নেতৃত্বে ছিলেন একজন অতিরিক্ত সচিব।
কমিটি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে হেয়ার রোডকে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ, শেখ হাসিনার তিন মেয়াদের পর গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের কাজ চলছে, যা ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হবে। ফলে ভবিষ্যতে গণভবনে কোনো সরকারপ্রধানের থাকা সম্ভব নয়।
কমিটি বিকল্প হিসেবে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণও পরিদর্শন করলেও লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী সেখানে নতুন স্থাপনা নির্মাণকে সময়সাপেক্ষ ও জটিল মনে করেছে।
বর্তমানে মিন্টো রোড ও হেয়ার রোডে মন্ত্রীদের জন্য ১৫টি বাংলো ও বেইলি রোডে ৩০টি ফ্ল্যাট থাকলেও সেগুলোর বেশ কিছু এখন ব্যবহার করছেন বিচারপতি, উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশনার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ফলে নতুন মন্ত্রীদের জন্য আবাসন সংকট তৈরি হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতে, মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে থাকা বিচারপতি ও কর্মকর্তাদের সরানো সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিব্রতকর হতে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নতুন আবাসনের খোঁজ চলছে।
কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে মিন্টো রোডের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর এবং বেইলি রোডের ২০ ও ২১ নম্বর বাংলো ভেঙে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ করলে সেখানে অন্তত ২৪ জন মন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা হবে। তবে ঐতিহাসিক এই বাংলোগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থাপত্য ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ ছাড়া গুলশান ও ধানমন্ডিতে সরকারের পরিত্যক্ত দুটি বাড়িতে নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ জানান, 'নতুন সরকারের আবাসন চাহিদা বিবেচনায় সুপারিশ করা হয়েছে, এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।'