মুক্তি*পণ দিয়েও রক্ষা হল না, অপহ*রণের ২ দিন পর যুবকের মর*দেহ উদ্ধার
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:২৮

ছবি: সংগৃহীত।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকায় সড়কের পাশে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবার দাবি করেছেন, তিনি জহিরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
নিহত জহিরুল ইসলাম কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আরজ আলী খানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন এবং মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
জহিরুলের ভাই খাইরুল আমিন খান জানান, ‘গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জহিরুল বাড়ি থেকে বের হন এবং আর ফেরেননি। পরদিন রাতে অজ্ঞাতপরিচয় একজন ফোন করে জানায়, জহিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশে ৬০ হাজার টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তিনটি বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণ পাঠানো হয়।
খাইরুল বলেন, ‘অপহরণকারীদের চাহিদা মেনে বিকাশে টাকা দিলেও আমার ভাইকে রক্ষা করতে পারিনি। নিহত জহিরুলের মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।’ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।