যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছাড়তে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না: ট্রাম্প
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৮

ছবি: সংগৃহীত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চাইলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। তবে এর জন্য ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। ট্রাম্পের মতে, শান্তিচুক্তির জন্য এটাই হবে মূল শর্ত।
গত রোববার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ থামাতে পারেন, অথবা চাইলে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখবেন, ওবামার আমলেই (২০১৪ সালে) ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া চলে গিয়েছিল, একটিও গুলি ছাড়াই। আর ইউক্রেন কখনোই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না-এটা বদলাবে না।’
এর আগে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প সাময়িক যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে সরে এসে স্থায়ী শান্তিচুক্তির আহ্বান জানান। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এবার জেলেনস্কিকে শর্ত মেনে নিতে ট্রাম্প চাপ দিতে পারেন বলে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপীয় নেতারাও যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তবে তাঁদের সবাই হোয়াইট হাউস আলোচনায় থাকবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, ‘জেলেনস্কিকে শান্তিচুক্তি মানতে ট্রাম্প বাধ্য করবেন-এমন ধারণা সম্পূর্ণ মিডিয়ার কল্পকাহিনি ছাড়া আর কিছু নয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সফরের সময় তীব্র বাকবিতণ্ডার কারণে আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল। এ কারণে এবার ন্যাটো নেতারাও সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।