
ছবি: সংগৃহিত।
বেতন নিয়ে কেবিন ক্রুদের ধর্মঘটে কানাডার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন এয়ার কানাডা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর শনিবার ভোরে কর্মবিরতি শুরু করে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা। এতে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রীর ভ্রমণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এয়ার কানাডা আগেই জানিয়েছিল, ব্যস্ত গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ মৌসুমে শুক্রবারের মধ্যেই ৬২৩টি ফ্লাইট বাতিল করতে হতে পারে। শুধু শুক্রবারেই প্রায় ১ লাখ যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
পরিস্থিতি আঁচ করে অনেকে সপ্তাহের শুরু থেকেই নতুন করে টিকিট বুক করার চেষ্টা করলেও শনিবার কানাডার প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ধর্মঘটের কারণে কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্থগিত হয়ে যায়।
এক বিবৃতিতে এয়ার কানাডা জানায়, কেবিন ক্রুরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর এয়ার কানাডা ও এয়ার কানাডা রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের অন্য কোনো এয়ারলাইন্সের টিকিট নিশ্চিত না করে বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়
তবে আঞ্চলিক পর্যায়ের এয়ার কানাডা জ্যাজ ও পিএএল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু থাকবে।
এয়ার কানাডার ১০ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের প্রতিনিধিত্বকারী কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯৮৫ সালের পর এবারই প্রথম ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের এ ধরনের ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।