শিরোনাম
কোম্পানীগঞ্জে পাথর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-মদ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪ সাদা পাথরের প্রকৃত লুটে*রাদের আইনের আওতায় না এনে গরিব দিনমজুরদের হয়রানি করা হচ্ছে জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ: সিকৃবিতে ছাত্রদল কমিটি ঘোষণায় বিক্ষোভ ভোলাগঞ্জের পাথর খুঁজতে ছাতকেও অভিযান চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের সিলেটের ধুপাগুলের মহালদিক গ্রাম থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ পাথর লুটে প্রভাবশালীদের নাম জানা, অথচ গ্রেফতার নেই পাচারের নতুন রুট ছাতক, কাটাগাঙ হয়ে যাচ্ছে লুটের পাথর সাদাপাথর লুট: ব্যর্থদের নিয়েই জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি!

https://www.emjanews.com/

8551

international

প্রকাশিত

১৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩২

আপডেট

১৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪০

আন্তর্জাতিক

মারওয়ান বারগুতি: ফিলিস্তিনের ‘ম্যান্ডেলা’

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩২

ছবি: সংগৃহিত।

ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সিনিয়র নেতা মারওয়ান বারগুতি, যাকে ফিলিস্তিনিরা ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন, ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে ইসরাইলি সেনাদের হাতে গ্রেফতার হন।

এর পর থেকে তিনি টানা ২৩ বছর কারাবাসে। দীর্ঘ বন্দিত্ব ও নির্মম নির্যাতনের পরও বারগুতি ভেঙে পড়েননি; বরং তার প্রতিরোধ আরও দৃঢ় হয়েছে।

অন্ধকার সেলে বসে তিনি গোপনে বই লিখেছেন, হাজারো বন্দির অনশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন এবং কোটি ফিলিস্তিনির হৃদয়ে স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলেছেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বহু বছর পর প্রথমবারের মতো বারগুতির একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির তার সেলে ঢুকে তাকে হুমকি দিচ্ছেন। দুর্বল ও ফ্যাকাশে শরীরে সাদা টি-শার্ট পরে বসে আছেন বারগুতি।

তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। যে-ই আমাদের জনগণকে নিশানা করবে, তাকে নিশ্চিহ্ন করা হবে।’

বারগুতি ১৯৫৯ সালের ৬ জুন রামাল্লার কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে ফাতাহ দলে যোগ দেন। প্রথমবার কারাগারে যান ১৯৭৮ সালে, চার বছর কারাভোগের সময় ইংরেজি ও হিব্রু শেখেন। মুক্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান ও আইনজীবী ফাদওয়া ইব্রাহিমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদায় নেতৃত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, তবে নির্বাসিত হন। ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য হন।

২০০০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা চলাকালে ফাতাহর সশস্ত্র শাখা তানজিমের নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে গ্রেফতার হন এবং ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, যা তিনি অস্বীকার করেছেন।

ফিলিস্তিনি বন্দি সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর মতে, বারগুতিকে ইসরাইলের মেগিদ্দো কারাগারে লাঞ্চিত ও আঘাত করা হয়েছে, যার ফলে তার দেহে গুরুতর চোট লেগেছে।

কারাগারে থেকেও বারগুতি বই পড়েন এবং ২৫৫ পৃষ্ঠার একটি গোপন বই লিখেছেন। তার মতোই, নেলসন ম্যান্ডেলাও দীর্ঘ কারাবাসে অটল ছিলেন।

বারগুতিকে অনেকেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সম্ভাব্য উত্তরসূরি মনে করেন।

২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনে তিনি সহজেই আব্বাসকে পরাজিত করতে পারেন। তার মুক্তি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আশার আলো এবং সংঘাত সমাধানের সম্ভাবনা জাগাতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ দেশমন্ড টুটু এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেতারা বারগুতিকে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য মনোনীত করেছেন।