কোম্পানীগঞ্জ
আজিজুন্নাহার বদলী: নতুন ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম
পাথর কোয়ারি থেকে সুবিধা নিয়ে নিষ্প্রভ থাকার অভিযোগ
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫২

ছবি- সংগ্রহ
সাদাপাথর লুটের ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) তাকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সেখানে ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউএনও আজিজুন্নাহারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। লুটপাট বন্ধে দায়িত্বশীল আচরণ না করে উল্টো লুটপাটে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। সাদাপাথর লুট নিয়ে কয়েক মাস ধরেই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছিল। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি ইউএনও আজিজুন্নাহার।
কোম্পানীগঞ্জের নতুন ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এর আগে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
একইভাবে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকেও বদলি করা হয়েছে। সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র্যাবের সাবেক আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। তিনি উপসচিব পদমর্যাদায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
এর আগে রবিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানও সাদাপাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ করেন। এর পরদিনই ইউএনও আজিজুন্নাহারকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হলো। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, আজিজুন্নাহার কোম্পানীগঞ্জে ইউএনও থাকাকালে যুবদলের সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক বাহার আহমদ রুহেলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এই বাহার আহমদ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির শীর্ষ লুটেরাদের একজন হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লাইনম্যান হিসেবে মাসোহারা আদায় করতেন। সে টাকাই সাদাপাথর লুটে ইউএনও আজিজুন্নাহারকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল বলে সম্প্রতি জনশ্রুতি রয়েছে।