https://www.emjanews.com/

8848

national

প্রকাশিত

২৫ আগস্ট ২০২৫ ১২:৪৩

আপডেট

২৫ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৬

জাতীয়

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যা

চিন্ময় দাসসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫ ১২:৪৩

ছবি: সংগৃহীত।

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান গত ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়। তবে সুকান্ত নামে এক আসামির নাম বাদ দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি তোলে। পরে মামলার বাদী আদালতে আবেদন করলে বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন। এর ফলে মোট ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন চিন্ময় দাসকে আদালতে হাজির করা হয়নি; তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আদালত চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে বলা হয়, রিপন দাস বঁটি দিয়ে দুই কোপ দেন সাইফুলের ঘাড়ে, চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপান, এরপর আরও ১৫-২০ জন মিলে লাঠি, ইট, বাটাম, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এ কারণেই তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিএনপির তৎকালীন নেতা ফিরোজ খান জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় ২৫ নভেম্বর ঢাকায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।