রংপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান
আবু সাঈদ হ*ত্যায় মানবতাবিরোধী অপ*রাধ মাম*লার বিচার শুরু আজ
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫ ১১:৫৫
ছবি: সংগৃহীত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হচ্ছে বুধবার (২৭ আগস্ট)। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে প্রসিকিউশন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হলেও বাকি ২৬ জন এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরা
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন-এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ।
আইনজীবীদের শুনানি
গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী শুনানি করেন। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানিতে অংশ নেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে, ২৯ জুলাই তিন গ্রেফতার আসামির পক্ষে শুনানি হয়। ওইদিন শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের পক্ষে আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের পক্ষে সালাহউদ্দিন রিগ্যান। তারা তিনজনেরই অব্যাহতি প্রার্থনা করেন।
প্রসিকিউশনের বক্তব্য
গত ২৮ জুলাই ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। এর আগে, ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
