
ছবি: সংগৃহীত।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল চা-বাগানে এককালীন সরকারি অনুদান বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। প্রতিটি শ্রমিককে ছয় হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য, শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও তাঁদের পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম উপকারভোগীর তালিকায় পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের গঠিত নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত এ কমিটি বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিকায় নাম তোলার জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেওয়া হয়েছে। আবার কারও নাম তালিকায় থাকলেও তাঁরা টাকা পাননি, অন্যদিকে তালিকায় না থাকা কয়েকজন অনুদান পেয়েছেন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬ জন উপকারভোগী এখনো টাকা পাননি।
তদন্তে উঠে এসেছে, উপকারভোগীদের তালিকায় ইউপি সদস্য চন্দন কুর্মী ও তাঁর স্ত্রী, শ্রমিক পঞ্চায়েত সভাপতি আগনু দাস, তাঁর স্ত্রী-ছেলেসহ একাধিক সচ্ছল পরিবারের সদস্যের নাম রয়েছে। এমনকি শ্রমিক নন, এমন চারজনের নামও অনুদান তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
চা-শ্রমিকদের উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার বিভিন্ন বাগানের পাঁচ হাজার শ্রমিককে এ অনুদান দেওয়ার কথা। বরমচাল চা-বাগানে ২৪৯ শ্রমিকের নামে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছানোর কথা ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য চন্দন কুর্মী ও পঞ্চায়েত সভাপতি আগনু দাস দাবি করেছেন, এটি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র। তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ বর্মা জানিয়েছেন, নতুন তালিকা অনুযায়ী অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার ইউএনও মহিউদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।