শিরোনাম
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনা বাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমান বাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি, জোবরা গ্রাম পুরুষশূন্য চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মশালমিছিল খুলনায় রূপসা সেতুর বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত, গুরুতর আহত ১০ জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াত কোম্পানীগঞ্জের ওসি বদলী, নতুন ওসি রতন শেখ হাঁস মারার জেরে সাইদুর হত্যা, মূল আসামি ইমরান গ্রেফতার কানাইঘাট সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

https://www.emjanews.com/

9095

law-justice

প্রকাশিত

৩১ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৩

আইন আদালত

জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৩

ছবি: সংগৃহিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচার এখন শেষ পর্যায়ে।

মামলায় মাত্র ৯ দিনে মোট ২৯ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষীদের মধ্যে আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৬ জনের বাবা-মা ও ভাই, আহত আন্দোলনকারী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন।

তারা এককণ্ঠে বলেছেন, হাজারো মানুষের হত্যার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলায় আরও অন্তত ১০- ১৫ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হবেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণে ৩-৪ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর উভয় পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে।

ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, সব ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়ে যাবে এবং পরে রায়ের জন্য দিন ঘোষণা করা হবে।

মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন, যার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকও রয়েছে।

এছাড়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই দোষ স্বীকার করেছেন এবং রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন।

মামলার অন্যান্য দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শেখ হাসিনা পলাতক রয়েছেন।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার বিচার শুরু করে, যেখানে অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত ১,৪০০ আন্দোলনকারীকে হত্যার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচনা, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’।

ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী মামলাটি দেখছেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলার বিচারও চলমান- একটি আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা এবং অন্যটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।