
সুনামগঞ্জে আলোচিত জমিয়ত নেতা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী হত্যার মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেছে। আদালত এই রিমান্ড আবেদনের শুনানী আগামী কাল বুধবার ধার্য করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামের আলিফ পাঠানের ছেলে। তিনি জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলমের অনুসারি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, ২ সেপ্টেম্বর রাতে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মরা সুরমা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার অভিযোগে আব্দুল হাফিজকে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাত ৩–৪ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী রুবি বেগম ৭ সেপ্টেম্বর দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সিলেটের টিলাঘর এলাকা থেকে আব্দুল হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে তার ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়।
আদালতের বিচারক এসএম শাফায়াত ছালাম আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়ো হন। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন এবং আদালতে আসামিকে নিয়ে আসার সময় ডিম ও বোতল ছুঁড়েন। পরে নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মাওলানা মুশতাক আহমদের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশের সুনামগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আকবর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর আরও তথ্য জানানো হবে।