
ছবি: বিয়ানীবাজার পৌরসভার দক্ষিণ নয়াগ্রাম থেকে তোলা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। উৎসবের আমেজে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার ৫২টি মন্দির ও মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মাটির প্রলেপ ও রঙ দিয়ে প্রতিমাগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে রং-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হবে এই সব প্রতিমা।
সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারে ৪১টি সার্বজনীন এবং ১১টি ব্যক্তিগত মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। সার্বজনীন মণ্ডপে সরকারিভাবে ৫শ’ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমীর মাধ্যমে শারদীয় উৎসব শুরু হবে। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবীর বিসর্জন সম্পন্ন হবে। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনী সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামান জানান, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোতায়েন থাকবে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরাও নিয়মিত টহল দেবেন।
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই বছর পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। এবার দেবী দুর্গা গর্জে আগমন করবেন এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে পালকীতে করে গমন করবেন।’
বিয়ানীবাজার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণাভ পাল চৌধুরী মোহন বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা ও দুর্গোৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি পূজা মন্দিরে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ কমিটি করা হয়েছে। আশা করি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবার পূজা উদযাপন হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকবে। আমরা এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।’