শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

5602

international

প্রকাশিত

২৪ মে ২০২৫ ১৩:৩৫

আন্তর্জাতিক

লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫ ১৩:৩৫

ছবি: সংগ্রহ

ইএন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমানের মালিকানাধীন লন্ডনের দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রোভনার স্কয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অন্যটি হলো উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসের একটি বাড়ি, যার মূল্য ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড। এই দুটি সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড।

ব্রিটিশ কোম্পানি ও প্রপার্টি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, উভয় সম্পত্তির মালিক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান। তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের ছেলে। সালমান এফ রহমান শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

গ্রেশাম গার্ডেন্সের বাড়িটিতে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। তিনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মা। টিউলিপ সাবেক সিটি মিনিস্টার ছিলেন এবং বর্তমানে লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্য। যদিও বর্তমানে রেহানা ওই বাড়িতে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে আসার পর এই কেলেঙ্কারিতে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে টিউলিপ সিদ্দিক সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন।

এক বিবৃতিতে এনসিএ জানিয়েছে, `আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, একটি চলমান ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে ১৭ গ্রোভনার স্কয়ার ও গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত দুটি সম্পত্তি জব্দের আদেশ (ফ্রিজিং অর্ডার) জারি করা হয়েছে।'

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সালমান ও শায়ান এফ রহমান অর্থ আত্মসাতের মামলায় সন্দেহভাজন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এসব সম্পত্তি আইল অফ ম্যান ভিত্তিক একটি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।

শায়ান রহমানের একজন মুখপাত্র বলেন, 1আমাদের মক্কেল কোনো অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের যেকোনো তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেটির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করছি।'

সালমান এফ রহমান ও শেখ রেহানার সঙ্গে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।